হাদীস শরীফে যদি এরূপ উল্লেখ না থাকত যে, এমন এক যুগ আসবে, যে যুগের কোন একজন ব্যক্তি তোমাদের (ছাহাবায়ে কেরামের) নেক আমলসমূহের এক দশমাংশ 'আমল' করলেও আখিরাতে মুক্তি লাভ করবে।
এ কালের লোকের পক্ষে আখিরাতের মুক্তি থেকে নিরাশ হওয়ার যথেষ্ট ভয় ছিল । কিন্তু এ কালে অল্প পরিমাণে সৎকার্য করেও প্রচুর সওয়াব পাওয়ার আশা আছে। এর কারণ হলো, এ যুগে ধর্ম-কর্মে কোন সঙ্গী বা সাহায্যকারী নেই, ধর্মের মৌলিক উপাদানগুলি নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছে।
কচিৎক্রমে দু-চার জন ধর্ম-পথে চলতে ইচ্ছা করলে তাদেরকে সম্পূর্ণ সঙ্গী ও সহায়বিহীনভাবে একাকী চলতে হয় । মানুষ তাদের সাহায্য করা দূরে থাকুক বরং বাধা-বিঘ্ন, টিটকারী ও নির্যাতন করে থাকে। একাকী বহু লোকের বিরুদ্ধে চলে নানা জাতীয় নির্যাতন ভোগ করার দরুন তাদের দুঃখ-কষ্ট দ্বিগুণ হয়ে পড়ে। এত বাধা-বিঘ্ন ও দুঃখ-কষ্টের ভেতর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ ইবাদত করার সুযোগ না পেয়ে অতি অল্প পরিমাণ ইবাদতে পরিতৃপ্ত থাকতে বাধ্য হয়। অন্তরে অদম্য আকাঙ্ক্ষা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছানুযায়ী ধর্ম-কর্ম করতে পারে না। এ কারণেই তাঁরা সামান্য পরিমাণ ইবাদতে প্রচুর সওয়াব লাভ করে থাকেন ।
0 মন্তব্যসমূহ