অজু করার বৈজ্ঞানিক উপকারীতা, বিজ্ঞান = ইসলাম

 আমাদের চেহারার রঙ আমাদের অনেক গোপন তথ্যই ফাঁস করে দিতে পারে। আমরা সবাই জানি যে শাকসবজি, ফলমূল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, যদিও অনেকেই তা খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু এই ফলমূল, শাকসবজির পাশাপাশি আরও একটি উপায় আছে চেহারার ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখার।


একজন বিশেষজ্ঞের কথাতে বিষয়টি উপস্থাপন করা যাক। আমেরিকার 'কাউন্সিল ফর বিউটি'র গুরুত্বপূর্ণ সদস্য লেডিবিচার এক আশ্চর্য ও চমৎকার তথ্য আবিষ্কার করেছেন। তার বক্তব্য হলো, মুসলমানদের কোনো জাতীয় মেডিকেটেড লোশনের প্রয়োজন নেই। তারা ইসলামী আচার ব্যবস্থা অজুর মাধ্যমে চেহারা ধুতে থাকে এবং মুসলমানরা কয়েকটি রোগ থেকে বেঁচে থাকে।


পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে মুহাম্মদ (সা.) :পৃষ্ঠা- ১১২

কেউ চশমা পরলেই যে বুদ্ধিদীপ্ত এমন কিন্তু নয়। আপনার সেলফি দেখে কিন্তু এখন আপনি আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন যে, আপনি কি বুদ্ধিমান নাকি নির্বোধ। যদিও কে কতটা স্মার্ট তা পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এখনও কোনো নির্দিষ্ট উপাত্ত বের করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে জীবনযাত্রা, ব্যক্তিত্ব প্রভৃতি পরিবর্তিত হচ্ছে কিনা তা লক্ষণীয়।


অজুর সময় ত্বকের উপরিভাগ ভালোভাবে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করার ফলে নানাবিধ রোগ-জীবাণু উধাও হয়ে যায়। বিশেষত ত্বক ঘষে-মেজে, মালিশ করে পরিষ্কার করার মাধ্যমে পূর্ণরূপে অজু সম্পন্ন হয়। এ কারণে অজুর পর মানুষের শরীরে সাধারণত অপরিচ্ছন্নতা ও রোগ-জীবাণু আর অবশিষ্ট থাকে না।


মুখ ও ত্বকের পাপ-পঙ্কিলতা বিদূরিত হয়, যা আমরা হাদিস শরিফের ভাষ্যমতে জানতে পারি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'অজুকারী যখন নিজ চেহারা ধৌত করে তখন তার চেহারার গুনাহগুলো ঝরে যায়। এমনকি চোখের পালকের শিকড় হতেও বের হয়ে যায়। এর পর রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেন, অজুকারী যখন মুখমণ্ডল ধোয়, তখন সব গুনাহ এবং অপরাধ থেকে সে এমনভাবে পবিত্র হয়ে যায়, যেন আজই তার মা তাকে জন্ম দিয়েছেন।


মুসনাদে আহমাদ :হাদিস নং ১৯০৯১

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ কথা প্রমাণিত যে, কুলি করার কারণে মুখগহ্বর প্রদাহের যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। দাঁতের মাড়ি ফোলা, ক্ষত সৃষ্টি ও পুঁজ থেকে রক্ষা হয়। অনুরূপভাবে দাঁতকেও রক্ষা করে এবং খাদ্য গ্রহণের পরে দাঁতের ফাঁকে যেসব খাদ্যকণা আটকে থাকে, তা অপসারণ করে দাঁতকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে।


কুলি করার আরও একটি চমকপ্রদ উপকারিতা এই যে, তা মুখের মাংসপেশিকে শক্ত রাখে। মুখের সজীবতা ও উজ্জ্বলতা রক্ষা করে এবং চেহারাকে পরিপাটি রাখে। শরীরচর্চা বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতে কুলি করা শরীরচর্চার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কুলি করার সময় যদি মুখের মাংসপেশিকে যথাযথভাবে সঞ্চালন করা হয়, তাহলে তা মানসিক প্রশান্তি অর্জনে যথেষ্ট সহায়তা করে।


আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় এ কথাও প্রমাণিত হয়েছে, সূর্যের আলোকরশ্মির প্রভাবে বিশেষত বেগুনি রশ্মি বিচ্ছুরণের ফলে ত্বকের ক্যান্সার হয়। নিয়মিত অজুর ফলে ত্বকের উপরিভাগ স্থায়ীভাবে আর্দ্র ও সিক্ত থাকার কারণে এর প্রভাব ও কার্যকারিতা প্রতিরুদ্ধ হয়। বিশেষত দেহের উন্মুক্ত অংশে ত্বকের উপরিভাগ ও অভ্যন্তর ভাগে সূর্যরশ্মির ক্ষতির প্রভাব থেকে মানবদেহকে রক্ষা করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ